ছোট বেলায় আমরা পড়ার টেবিলের সামনে রুটিং রেখে দিতাম। রুটিং অনুযায়ী সময় ভাগ করে বিভিন্ন বিষয় পড়াশোনা করতাম। কম্পিউটারেও কিছু কাজ রুটিং মাফিক করা উচিৎ। এতে আপনার কম্পিউটার যেমন ঠিকভাবে সব কাজ সম্পাদন করবে তেমনি স্পিডও পাবেন সবসময়।
আসুন তাহলে আমরা জানি যে রুটিং প্রিভেন্টিভ বা নিয়মিত প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে করা যায়:
দৈনিক যেসব বিষয়ের দিকে আপনি লক্ষ্য রাখবেন:-
১. পাওয়ার অন করার সময় তা যথাযথভাবে হয়েছে কিনা সেটি দেখা।
২. ডিস্ক ড্রাইভের ‘রান লাইট অন’ হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য করা।
৩. প্রিন্টারে কোনো প্রিন্টিং এর পূর্বে ক্যাবল সংযোগ দেখে, কাগজ যথাযথ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা দেখা।
৪. কম্পিউটারের উপর সরাসরি সূর্যের আলো পড়ছে কিনা তা লক্ষ্য করা।
৫. ঘরের আর্দ্রতা পরীক্ষা করা।
৬. দৈনিক ব্যবহারের সময় লিখে রাখা।
৭. মেশিন যথাযথভাবে শাটডাউন হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা।
প্রতি সপ্তাহে কম্পিউটারের যে ধরনের যত্ন নেয়া প্রয়োজন:
১. যে ডেস্কটির উপর পিসি স্থাপন করা আছে তার চারপাশে যে সব স্থানে ধুলো ময়লা জমে থাকে তা পরিষ্কার করা।
২. পিসির বাইরে যেসব স্থানে ধুলো ময়লা জমে থাকে তা মুছে ফেলা।
৩. মনিটর পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে এন্টিস্ট্যাটিক স্প্রে বা দ্রবণ কিংবা কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. প্রিন্টার ও অন্যান্য পেরিফেরাল পরিষ্কার করা।
৫. প্রতিদিন প্রিন্ট করার প্রয়োজন পড়লে ছোট ছোট কাগজের টুকরা এখানে সেখানে পড়ে থাকতে পারে। এসব টুকরো পরিষ্কার করা।
৬. ব্যবহ্রত কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা।
৭. সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্যানডিস্ক, ডিফ্র্যাগমেন্ট প্রোগ্রাম চালনা করা।
প্রতি মাসে পিসির যেসব রক্ষাণাবেক্ষণ বা যত্ন নেয়া প্রয়োজন:
১. মাউস খুলে পরিক্ষা করা এতে কোন ময়লার আস্তর পড়েছে কিনা তা দেখা। আস্তর পড়লে তা পরিষ্কার করে ফেলা।
২. ভেন্টিলেশন ফিল্টার পরীক্ষা করা। এতে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত পরিবর্তন করা।
৩. ব্যবহ্রত প্রিন্টারের ভিতরের অংশ পরীক্ষা করা। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
৪. পিসির ভেতরের অংশে লেগে থাকা ধলাবালি পরিষ্কার করা।
৫. বিভিন্ন সংযোগ পিন এবং সংযোগে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা। তবে পিনে যেন কোনো চাপ বা আচঁড় না লাগে।
ছয় মাস অন্তর কি কি যত্ন নেয়া যেতে পারে: ছয় মাস পর পর পিসির বাহ্যিক যত্নের চেয়ে এর আভ্যন্তরীন যত্নের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এ সময়কার যত্ন গুলো হচ্ছে-
১. ক্যাবল সংযোগ খুলে ফেলে এতে ময়লা লেগে থাকলে বা আস্তরের সৃষ্টি হলে তা পরিষ্কার করা।
২. ক্যাবল পুন:সংযোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা যেন অধিক চাপে সংযোগ পিন বেঁকে না যায়।
৩. প্রিন্টারটি পরীক্ষা করে দেখা। অধিক ব্যবহারে রিবন/কার্টিজ এর মেয়াদ শেষের দিকে থাকলে তা লক্ষ্য রাখা।
৪. ভেন্ট ফিল্টার পরিবর্তন করা।
৫. মাদারবোর্ড ও অন্যান্য সার্কিট বোর্ড পরীক্ষা করা এবং এতে অক্সাইড বা ময়লা পড়লে পরিষ্কারক পদার্থ দ্বারা পরিষ্কার করা। এ ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ ।
ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন