সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

কম্পিউটারের রুটিন

 

ছোট বেলায় আমরা পড়ার টেবিলের সামনে রুটিং রেখে দিতাম। রুটিং অনুযায়ী সময় ভাগ করে বিভিন্ন বিষয় পড়াশোনা করতাম। কম্পিউটারেও কিছু কাজ রুটিং মাফিক করা উচিৎ। এতে আপনার কম্পিউটার যেমন ঠিকভাবে সব কাজ সম্পাদন করবে তেমনি স্পিডও পাবেন সবসময়।
আসুন তাহলে আমরা জানি যে ‍রুটিং প্রিভেন্টিভ বা নিয়মিত প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে করা যায়:

দৈনিক যেসব বিষয়ের দিকে আপনি লক্ষ্য রাখবেন:-
১.     পাওয়ার অন করার সময় তা যথাযথভাবে হয়েছে কিনা সেটি দেখা।
২.     ডিস্ক ড্রাইভের ‘রান লাইট অন’ হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য করা।
৩.     প্রিন্টারে কোনো প্রিন্টিং এর পূর্বে ক্যাবল সংযোগ দেখে, কাগজ যথাযথ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা দেখা।
৪.     কম্পিউটারের উপর সরাসরি সূর্যের আলো পড়ছে কিনা তা লক্ষ্য করা।
৫.     ঘরের আর্দ্রতা পরীক্ষা করা।
৬.     দৈনিক ব্যবহারের সময় লিখে রাখা।
৭.     মেশিন যথাযথভাবে শাটডাউন হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা।

প্রতি সপ্তাহে কম্পিউটারের যে ধরনের যত্ন নেয়া প্রয়োজন:
১.     যে ডেস্কটির উপর পিসি স্থাপন করা আছে তার চারপাশে যে সব স্থানে ধুলো ময়লা জমে থাকে তা পরিষ্কার করা।
২.     পিসির বাইরে যেসব স্থানে ধুলো ময়লা জমে থাকে তা মুছে ফেলা।
৩.     মনিটর পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে এন্টিস্ট্যাটিক স্প্রে বা দ্রবণ কিংবা কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪.     প্রিন্টার ও অন্যান্য পেরিফেরাল  পরিষ্কার করা।
৫.     প্রতিদিন প্রিন্ট করার প্রয়োজন পড়লে ছোট ছোট কাগজের টুকরা এখানে সেখানে পড়ে থাকতে পারে। এসব টুকরো পরিষ্কার করা।
৬.     ব্যবহ্রত কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা।
৭.     সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্যানডিস্ক, ডিফ্র্যাগমেন্ট প্রোগ্রাম চালনা করা।

প্রতি মাসে পিসির যেসব রক্ষাণাবেক্ষণ বা যত্ন নেয়া প্রয়োজন:
১.     মাউস খুলে পরিক্ষা করা এতে কোন ময়লার আস্তর পড়েছে কিনা তা দেখা। আস্তর পড়লে তা পরিষ্কার করে ফেলা।
২.     ভেন্টিলেশন ফিল্টার পরীক্ষা করা। এতে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত পরিবর্তন করা।
৩.     ব্যবহ্রত প্রিন্টারের ভিতরের অংশ পরীক্ষা করা। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
৪.     পিসির ভেতরের অংশে লেগে থাকা ধলাবালি পরিষ্কার করা।
৫.     বিভিন্ন সংযোগ পিন এবং সংযোগে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা। তবে পিনে যেন কোনো চাপ বা আচঁড় না লাগে।

ছয় মাস অন্তর কি কি যত্ন নেয়া যেতে পারে:     ছয় মাস পর পর পিসির বাহ্যিক যত্নের চেয়ে এর আভ্যন্তরীন যত্নের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এ সময়কার যত্ন গুলো হচ্ছে-
১.     ক্যাবল সংযোগ খুলে ফেলে এতে ময়লা লেগে থাকলে বা আস্তরের সৃষ্টি হলে তা পরিষ্কার করা।
২.     ক্যাবল পুন:সংযোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা যেন অধিক চাপে সংযোগ পিন বেঁকে না যায়।
৩.     প্রিন্টারটি পরীক্ষা করে দেখা। অধিক ব্যবহারে রিবন/কার্টিজ এর মেয়াদ শেষের দিকে থাকলে তা লক্ষ্য রাখা।
৪.     ভেন্ট ফিল্টার পরিবর্তন করা।
৫.     মাদারবোর্ড ও অন্যান্য সার্কিট বোর্ড পরীক্ষা করা এবং এতে অক্সাইড বা ময়লা পড়লে পরিষ্কারক পদার্থ দ্বারা পরিষ্কার করা। এ ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচি
ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।

আসুন জেনে নেই বায়োসের (BIOS) কিছু দরকারী পাসওয়ার্ড


কখনও কখনও ভাইরাসের কারণে বায়োস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বায়োসে ব্যবহ্রত সফটওয়্যার ভার্সন এবং কোম্পানীর নামটি জানা থাকলে ভাল হয়।
সাধারনত মাদারবোর্ডে AWARD BIOS সবচেয়ে বেশি ব্যবহ্রত হয়। এছাড়াও ব্রান্ড পিসিগুলোতে এবং ল্যাপটপে নিজস্ব কোম্পানীর BIOS সফটওয়্যার ব্যবহ্রত হয়। BIOS ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনার বায়োস ROM চিপটি/IC টি সমমানের ROM chip ‍দিয়ে পরিবর্তন করে নিন।
BIOS পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে:
প্রত্যেকটি BIOS সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক তাদের নির্দিষ্ট বায়োসের জন্য Defult password ব্যবহার করে থাকেন। কোম্পানী অনুযায়ী নিচে লিখিত বায়োস পাসওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে দেখুন।
Award BIOS backdoor Passward
ALFAROME, ALLy, aLLy, aLLY, ALLY, aPAf, _award, BIOSTAR, CONCAT, CONDO, Condo, d8on, djonet, HLT, KDD, Lkwpeter, LKWPETER, PINT, pint, SER, SKY_FOX, ZAAADA, ZBAAACA, ZJAAADC, 01322222, 589589, 589721, 595595, AWARD_SW, AWARD?SW, AWARD SW, AWARD PW, AWKWARD, awkward, J64, J256, J262, J332, J322, SYXZ, syxz, shift+syxz, TTPTHA, 598598.

AMI BIOS backdoor passwords
AMI, AAAMMMIII, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI SW, LKWPETER, A.M.I., CONDO.

PHOENIX BIOS backdoor passwords:
phoenix, PHOENIX, COMS, BIOS

MISC, COMMON PASSWORDS
ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj.

OTHER BIOS PASSWORD BY MANUFACTURER
VOBIS & IBM >>>>> merlin
Dell >>>>> Dell
Biostar >>>>> Biostar
Compaq >>>>> Compaq
Enox >>>>> xo11nE
Epox >>>>>central
Freetech >>>>>Posterie
IWill>>>>>iwill
Jetway>>>>> spooml
Packard Bell >>>>> bell9
QDI >>>>> QDI
Siemens >>>>> SKY_FOX
TMC>>>>> BIGO
Toshiba>>>>> Toshiba

TOSHIBA BIOS
Most Toshiba laptops and some desktop systems will bypass the BIOS password if the left shift key is held down during boot.

IBM APTIVA BIOS
Press both mouse buttons repeatedly during the boot.
ধন্যবাদ কস্ট করে আমার লেখাটি না পড়ার জন্য। এমনি এখন হয়তো কোন কাজে লাগবে না। তবে সংগ্রহে রেখে দিন। কোন এক সময় কাজে নিশ্চয়ই কাজে দিবে।

মাদারবোর্ড কিনতে হলে যা যা জানতে হয়



কম্পিউটার কিনতে হলে আপনাকে প্রসেসরের পরে বিবেচনা করতে হবে কি মাদারবোর্ড কিনবেন। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাকে জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন মাদারবোর্ড আপনার দরকার। তো চলুন জেনে নেই:
১.    সবসময় সর্বশেষ যে মাদারবোর্ডটি বাজারে এসেছে সেটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন।
২.    সর্বশেষ মাদারবোর্ড সংগ্রহ করলেই হবে না আপনাকে দেখতে হবে আপনার এই মাদারবোর্ডটি কোন কোন স্পিডের প্রসেসরকে সাপোর্ট করে। নতুনদের ক্ষেত্রে চেষ্টা থাকা উচিবাজারের সর্বশেষ মডেলের প্রসেসর কেনা। সেক্ষেত্রে আপনার  মাদারবোর্ড উক্ত প্রসেসরকে সাপোর্ট করে কিনা সেটি জেনে নিন। সেটি না হলে উপযুক্ত মাদারবোর্ড বেছে নিন। যারা ইতিমধ্যে কমপিউটার ব্যবহার করছেন এবং কোন কারনে বর্তমান মাদারবোর্ডটি নষ্ট হয়ে গেছে তারা তাদের প্রসেসরের সাথে মিল রেখে নতুন মাদারবোর্ড সংগ্রহ করবেন।
৩.    প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত এবং এগুলোর মধ্যে সামÄস্য আছে কিনা তা দেখে নিবেন।
৪.    মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত তা জেনে নিন। স্পিড বেশি হলে কাজের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।
৫.    অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন মাদারবোর্ডের বাস স্পিড সঙ্গে ক্যাশ মেমোরির স্পিডও যেন সামÄস্যপূর্ণ হয়।
৬.    ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে উক্ত মাদারবোর্ডটি সর্ব্বোচ্চ কত ক্ষমতা পরযন্ত র‌্যামকে সাপোর্ট করে সেটি দেখে নিন। যত বেশি র‌্যাম ব্যবহার করবেন আপনার পিসি তত বেশি দ্রুত কাজ করবে। এখন ব্যবহার না করলেও যেন পরবর্তিতে আপনি বাড়তি র‌্যাম লাগিয়ে নিতে পারেন সেটি বিবেচনায় রাখুন।
৭.    মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্ক লাগানোর জন্য কয়টি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। বেশি পোর্ট থাকলে সেটি অবশ্যই আপনার জন্য ভাল।
৮.   মাদারবোর্ডে কতগুলো ইউএসবি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। যত বেশি পোর্ট পাবেন তত বেশি ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
৯.    মাদারবোর্ডে কি কি ধরনের স্লট আছে এবং কয়টি করে আছে তা দেখে নিন। এ ক্ষেত্রে PCI এবং ISA স্লটগুলোর বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
১০.   স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্ত মাদারবোর্ডটি ছাড়পত্র পেয়েছে কিনা তা দেখে নিন। যেমন: FCC কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র।
১১.   বাজারে বেড়িয়েছে USB 3 ভার্সনের মাদারবোর্ড। যা অত্যন্ত স্পিডে (৫ গিগা/সে:) ইউএসবির মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে।